শান্তিচুক্তি যেভাবে দেখি

কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যন্ত সাবধানী মানুষ ছিলেন। কথাবার্তা বলিবার সময় এমনভাবে বলিতেন, যাহাতে তাঁহাকে মানুষ ভুল বুঝিবার অবকাশ না পায়। তাহার পরেও অনবধানতাবশত রবীন্দ্রনাথ কিছু রচনা প্রকাশ করিয়া ফেলিয়াছিলেন যাহা মুসলমান সমাজের মানুষেরা সহজভাবে গ্রহণ করিতে পারেন নাই। উপস্থিত মুহূর্তে আমি কবির ‘শিবাজী উৎসব’ কবিতাটির কথাই উল্লেখ করিব। মহারাষ্ট্রের নেতা বাল গঙ্গাধর তিলকের অনুরোধে তিনি কবিতাটি রচনা করিয়াছিলেন। এই রচনাটি মুসলমান সমাজের অনুভূতিকে জখম করিয়াছিল। গোঁড়া মুসলমানেরা তো কবির উপর চটিয়াছিলেনই, কংগ্রেস সমর্থক হুমায়ুন কবীরের মত মানুষও ‘শিবাজী উৎসব’ কবিতার হুবহু ছন্দ অনুকরণ করিয়া ‘আকবর’ কবিতা লিখিয়া রবীন্দ্রনাথের কবিতার জবাব দিয়াছিলেন।

আমিও এই রচনাটি অত্যন্ত ঝুঁকি গ্রহণ করিয়া লিখিতেছি। কেন ঝুঁকির কথাটা বলিলাম, তাহা একটু বুঝাইয়া বলিবার অপেক্ষা রাখে। আমার অবস্থা দাঁড়াইয়াছে সেই বালকের মতো, যে মাংসের হাঁড়িতে কুকুরের মুখ দিতে দেখিয়া ফেলিয়াছিল। বালকের সংকট হইল, এই কথা যদি প্রকাশ করে, তাহা হইলে বালকের পিতার কাছে মাতা মার খাইবে। আর যদি প্রকাশ না করে তাহা হইলে পিতা হারাম চীজ ভক্ষণ করিবে। আমাদের সমাজে সংসারে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যাহা বিবেকবান মানুষকে নৈতিক সংকটের মুখামুখি দাঁড় করাইয়া দেয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তির বিষয়টিও আমাকে সেই রকম উভয় সংকটের মধ্যে নিক্ষেপ করিয়াছে।

আমি যে নৈতিক সংকটের মধ্যে পড়িয়াছি তাহার স্বরূপটিও ব্যাখ্যার দাবি রাখে। আমি উনিশশ’ পঁয়ষট্টি সাল হইতে উপজাতিদের অধিকারের পক্ষে লেখালেখি করিয়া আসিতেছি। শত শত বছর ধরিয়া উপজাতিদের উপর যে অন্যায় অবিচার হইয়াছে, যেভাবে তাহাদের শোষণ চালানো হইয়াছে প্রাণ দিয়া কামনা করিয়াছিলাম তাহার অবসান হউক। শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে বাংলাবাজার পত্রিকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের সংকটের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করিয়া প্রথমে পাঁচটি এবং চুক্তির পরে আরো একটি নিবন্ধ প্রকাশ করিয়াছি। ইত্তেফাকের ব্যক্তিগত মতামতের পাতায়ও আমার একটি ক্ষুদ্র নিবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছিল। যদিও লেখাটি আগে লিখিয়াছিলাম, প্রকাশিত হইয়াছিল পরে। অনেকে লেখাটির তারিফ করিয়াছিলেন। বিদেশী সংবাদ মাধ্যমসমূহ আমার রচনার মর্মবস্তু প্রচার করিয়াছিলেন। আমার বলিতে কোন দ্বিধা থাকার কথা নয়, আমার কোন কোন সুহৃদ ওই রচনাটি পাঠ করিয়া লিখিতভাবে আমাকে তিরস্কার করিতেও কুণ্ঠিত হন নাই। গালমন্দ হজম করিবার পাকস্থলী লইয়াই লেখকদের জন্মগ্রহণ করিতে হয়, না হইলে লেখক হওয়া সম্ভব নয়।

শান্তিচুক্তির বয়ান পত্রিকার পাতায় পাঠ করিয়া আমার যে প্রতিক্রিয়া হইয়াছিল, সে বিষয়ে একটি আভাস দিবার প্রয়োজন বোধ করিতেছি। এই চুক্তির ধারা উপধারাসমূহ পাঠ করিয়া আমি শিহরিত হইয়া উঠিয়াছিলাম, আমার মন বলিয়াছিল এই চুক্তি কোনদিন শান্তি আনিতে সক্ষম হইবে না, বরঞ্চ অশান্তি অনেক গুণে বাড়াইয়া তুলিবে। যাহা হউক চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর সরকার সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা এই চুক্তিকে অভিনন্দন জানাইয়া পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি ইত্যাদি প্রকাশ করিতেছেন, মিটিং-মিছিল করিতেছেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং বিএনপি’র রাজনৈতিক মিত্ররাও চুপ করিয়া বসিয়া নাই। তাহারাও সভা করিতেছেন, মিছিল করিতেছেন, দেশের মানুষকে হরতাল পালন করিতে বাধ্য করিতেছেন।

দেশের যতগুলো নামকরা সংবাদপত্র আছে এবং পাঠক সাধারণের কাছে যেগুলোর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রহিয়াছে সেই সব পত্রিকায় সরকার সমর্থক বুদ্ধিজীবীরা অহরহ নিবন্ধ ইত্যাদি লিখিয়া সরকারের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করিয়া যাইতেছেন। তুলনামূলকভাবে বিএনপি সমর্থক পত্রপত্রিকার সংখ্যা অল্প। যে সব পত্রিকা বিএনপি’র অবস্থানকে সমর্থন করে, সেগুলির বিশেষ পাঠকপ্রিয়তা নাই। তাহার ফলে দেশের মানুষকে অনেকটা একতরফা সরকারি প্রচারণার কথাই শুনিতে হইতেছে। যেহেতু সরকারি প্রচারণার জোর বেশি, সেই কারণে দেশের মানুষ তাহাদের কথা শুনিতে শুনিতে অনেকটা ক্লান্ত হইয়া পড়িয়াছেন। এই ধরনের পরিস্থিতিতে অতি সহজে গুজব দাবানলের মত ছড়াইয়া পড়িতে পারে। আসলে তাহাই ঘটিতেছে। দেশের মানুষের মনে দিনে দিনে এক ধরনের আতঙ্ক বাসা বাঁধিতেছে। কথা অনেকেই বলিতেছেন, এখন কি ঘটিতে যাইতেছে। কথা অনেকেই বলিতেছেন, এমন কি পার্বত্য চট্টগ্রামের সংকটের আসল চেহারা সম্পর্কে রচনা লিখিতে দিলে যাহারা একশতের মধ্যে পনের নম্বর পাইবার যোগ্যতা রাখেন না, তাহারাও সংবাদপত্রে লম্বা লম্বা প্রবন্ধ লিখিতেছেন।

আওয়ামী লীগের সরকারের অবস্থান কোথায়, বিরোধী দলের অবস্থান কোথায়, শান্তিচুক্তির শর্তসমূহ কি কি, সেইসব বিষয়ে দেশের মানুষ বিলক্ষণ অবগত আছেন, পুনরাবৃত্তি করিয়া লাভ নাই। দিনে দিনে রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের পরিস্থিতি যেভাবে উত্তপ্ত হইয়া উঠিতেছে, অবস্থাদৃষ্টে আমার মনে হয় সরকারের হাতে এমন কোন জাদুকাঠি নাই, যাহার বলে সেই অশান্তি ঠেকাইতে পারেন। এই বিরোধ যদি তীব্র হইয়া উঠে সরকার, বিরোধী পক্ষ, উপজাতীয় জনগোষ্ঠী এবং পাহাড়ি বাঙ্গালি কাহারও কোন লাভের সম্ভাবনা নাই।

সব পক্ষ মিলিয়া যৌথভাবে যদি একটা শান্তি স্থাপনের পথ বাহির করিয়া লয়, তাহা হইলে সবদিক দিয়া উত্তম। দেশের মানুষ হাফ ছাড়িয়া বাঁচে। সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে আনিয়া সংলাপের মাধ্যমে একটি শান্তির পন্থা অনুসন্ধান করিবার দায়িত্ব বর্তমান মুহূর্তে একমাত্র রাষ্ট্রপতিই করিতে পারেন। তাহা যদি সম্ভব না হয় জাতি বিভক্ত হইয়া পড়িবে।

এখন আমি আমার নিজের অবস্থানটি ব্যাখ্যা করিব। আমি যদি বিএনপি সমর্থন করিতাম, তাহাদের প্ল্যাটফর্ম হইতে আমার বক্তব্য হাজির করিতাম। প্রকৃত প্রস্তাবে বিএনপির রাজনীতি আমি সমর্থন করি না। বামফ্রন্ট চিন্তাচেতনার দিক দিয়া আমার অনেক কাছাকাছি ছিল। কিন্তু তাহারা শান্তিচুক্তি প্রশ্নে এক রহস্যময় ভূমিকা পালন করিতেছেন। বামফ্রন্টের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা জনাম রাশেদ খান মেননের সংবাদপত্রে লেখা পাঠ করিয়া আমি কোন সুস্পষ্ট ধারণা গঠন করিতে সক্ষম হই নাই। কোনদিন মনে হয় তিনি আওয়ামী লীগকে সমর্থন করিতেছেন, কোনদিন মনে হয় তিনি বিএনপি’র পক্ষ লইয়া কথাবার্তা বলিতেছেন। আর স্ট্যালিনের জাতিসত্তার বিচ্ছিন্ন হইবার অধিকারের দোহাই পাড়িয়া উপজাতি সমস্যার সমাধানের যে তাত্ত্বিক সমাধান তাহারা উপস্থাপন করেন, তাহা অবাস্তব। সে কারণে তাহাতে আমার আস্থা নাই। স্ট্যালিন কাগজে কলমে ক্ষুদ্র জাতিসত্তাসমূহের বিচ্ছিন্ন হইবার অধিকার স্বীকার করিয়াছিলেন, কিন্তু বাস্তবে তাহাদের অধিকার হরণ করিয়াছিলেন। আর জাতিসত্তাসমূহ যখন সত্য সত্য বিচ্ছিন্ন হইয়া গেল, সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রেরও পতন ঘটিল।

এখন চুক্তির বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করিব। আমি সর্বান্তকরণে কামনা করি পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হউক এবং উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকে তাহাদের ন্যায্য অধিকার ভোগ করিতে দেওয়া হউক। কিন্তু যে চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছে, তাহার মাধ্যমে শান্তি আসিতে পারে, এই কথা আমি বিশ্বাস করিতে পারি না। এই চুক্তি অনেক বেশি করিয়া অশান্তির আগুন জ্বালাইয়া তুলিবে। বিএনপি এবং জামায়াত যেভাবে বলিতেছে সরকার এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতের কাছে দেশ বেঁচিয়া দিয়াছে, আমি সে কথা বলিব না। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের স্বার্থরক্ষা করে না, তেমন কথা বলাও আমার উদ্দেশ্য নয়। দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিশেবে এই কথা আমি অবশ্যই বলিব কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া এই চুক্তি সম্পাদন করা হয় নাই। আর এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর হইতে যতগুলি চুক্তি করা হইয়াছে তাহার কোনটাতেই জাতীয় স্বার্থের প্রতি সুবিচার করা হয় নাই।

যাহারা দেশ চালাইতেছেন, তাহাদের নিশ্চয়ই বিশেষ নীতিমালা রহিয়াছে। আমি যদি তাহাদের সহিত একমত পোষণ করিতে নাও পারি, তাহা হইলেও তাহাদের কিছু আসিয়া যাওয়ার কথা নয়। যেমনভাবে দেশ চালাইতেছেন, তেমনভাবে চালাইবেন।

শান্তিচুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে পত্র-পত্রিকায় যে বাদ প্রতিবাদ হইয়াছে, তাহাতে অনিবার্যভাবে ভারতের কথা আসিয়া পড়িয়াছে। সরকার সমর্থক কলাম লেখকদের অনেকেই মতামত প্রকাশ করিয়াছেন, বিএনপি ভারতীয় জুজুর ভয় দেখাইয়া অনর্থক পানি ঘোলা করিতেছেন। আমাদের কোন ব্যাপারে নাক গলাইবার বিন্দুমাত্র ইচ্ছাও ভারতের নাই। এই কথাটির সঙ্গে আমি একতম হইতে পারিতেছি না। ভারত জুজু নয়, মূর্তিমান প্রবল উপস্থিতি। আমাদের অনেক কিছুতেই তাহারা নাক গলাইয়া থাকেন। এই কথা শুধু হাসিনার ব্যাপারে নয়, বাংলাদেশে এই পর্যন্ত যতগুলি সরকার আসিয়াছে, কমবেশি সকলের ব্যাপারে সত্য। কিভাবে ভারত বাংলাদেশে রাজনৈতিক গন্তব্য নিয়ন্ত্রণ করিতে চেষ্টিত আছে এই ক্ষুদ্র নিবন্ধে তাহা বিস্তারিত বলিবার অবকাশ নাই। আমার একটা উপলব্ধির কথা প্রকাশ করিবার ক্ষোভ সামলাইতে পারিতেছি না। আমাদের পিতারা পাকিস্তান সৃষ্টি করিয়া যে পাপ করিয়াছিলেন, সেই পাপ স্খলন করিবার জন্য আমাদের অগ্রজদের একুশে ফেব্রুয়ারিতে রক্তদান করিতে হইয়াছিল এবং আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ করিতে হইয়াছে। লাখ লাখ জান কোরবান করিতে হইয়াছে। ভারতের সহায়তায় আমরা স্বাধীনতা লাভ করিয়াছি, তাহারও তো একটা মূল্য রহিয়াছে। আল্লাহর দুনিয়াতে সব জিনিসই দাম দিয়া কিনিতে হয়। ভারত কিভাবে তাহার প্রাপ্য আদায় করিবে তাহার কিছু আলামত ইতোমধ্যে দেশবাসীর সামনে নিশ্চয়ই স্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। ফারাক্কা, তালপট্টি, পার্বত্য চট্টগ্রাম, ট্রানজিট, বন্দর সুবিধা, ভবিষ্যতে আরও কতকিছু আসিবে কে বলিতে পারে। ফাঁদ পাতা হইয়াছে শুধু আমাদের লাফাইয়া পড়িবার প্রতীক্ষা।

আমি কথা বাড়াইব না। আরও একটি মোক্ষম কারণে আমি শান্তিচুক্তির  বিরোধিতা করি। প্রথমে অস্পষ্ট গুঞ্জন শোনা গিয়াছিল। এখন প্রায় প্রতিষ্ঠিত সত্য। পার্বত্য অঞ্চলে গ্যাস তেল উত্তোলন করিবার জন্য আমাদের সরকার অকসিডেন্টাল বা এরকম কোন এক মার্কিন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করিয়াছে। আবার সেই কোম্পানি নলের সাহায্যে পশ্চিম বাংলার নদীয়া এবং আরও কোথায় কোথায় গ্যাস সরবরাহ করার জন্য চুক্তিতে আবদ্ধ হইয়াছে। গ্যাস আহরণের কর্মটি যাহাতে তাড়াতাড়ি আরম্ভ করা যায়, সেজন্য কাহাকেও না জানাইয়া সরকার শান্তিচুক্তিটি সম্পাদন করিয়াছেন। আমি পাঠকদের চোখ বন্ধ করিয়া ব্যাপারটি চিন্তা করিতে বলি। আমাদের গ্যাস ভারতে যাইতেছে এবং ভারতীয় কলকারখানায় গ্যাস ব্যবহার হইতেছে। আমাদের সাথে ভারতের সুসম্পর্ক সব সময় বজায় থাকিবে এই নিশ্চয়তা কে দিতে পারে। আমাদের গ্যাসক্ষেত্রের সাথে ভারতীয় শিল্প-কারখানার সংযোগ হইলে কোন কারণে যদি গ্যাস সরবরাহ করিতে রাজি না হই, তাহাদের কি সামরিক হস্তক্ষেপ করিবার একটা রাস্তা আমরা নিজেদের হাতে পাকা করিয়া দিতেছি না? আমার এই কথাগুলি যদি মিথ্যা হয়, আমিই সবচাইতে বেশি খুশি হইব। সরকার যেখানে আপনা হইতে তথ্য গোপন করিতেছে, গুজব উড়াইয়া দিবার উপায় কি?

এই ধরনের গ্যাস চুক্তির মাধ্যমে শুধু ভারতকে নয়, পশ্চিমা দেশগুলোকেও কি আমরা সামরিক হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করিয়া দিতেছি না? মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকাসহ তাবত পাশ্চাত্য শক্তি এই কারণেই তো বারবার সামরিক হস্তক্ষেপ করিতেছে।

এই বিষয়টি অগ্রিম কল্পনা করিয়া কবি আব্দুল গণি হাজারী লিখিয়াছিলেন:

‘অদূর কিংবা সুদূর থেকে

যেখান থেকেই আস না কেন

আস এবং ধর্ষণ কর

আমার কলাবাগানের অন্তরালে পলায়মানা

যুবতীর ত্রাসিত যৌবনকে।’

যে সমস্ত রাজনৈতিক দোকানদার কথায় কথায় সাম্রাজ্যবাদাদের মুণ্ডুপাত করিতে অভ্যস্থ, তাহাদের বলিবার বা করিবার কি কিছুই নাই?

৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭

শান্তি চুক্তি ও নির্বাচিত নিবন্ধ (ঢাকা: ইনফো পাবলিকেশনস্, ১৯৯৮)।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।