বাংলাবাজার পত্রিকার পাঠক-পাঠিকা ভাইবোনেরা অবশ্যই স্মরণ করিবেন শান্তিচুক্তি সম্পাদনের অব্যবহিত পূর্বে পরপর এ বিষযে পাঁচটি নিবন্ধ আমি রচনা করিয়াছিলাম। আমি আমার রচনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান অশান্তি এবং তাহার উৎসসমূহ কোথায়, সে ব্যাপারে আমার সাধ্যমত নিরপেক্ষতা সহকারে একটা পর্যালোচনা হাজির করিয়াছিলাম। অনেক পাঠক-পাঠিকা তাহাদের মধ্যে উপজাতীয় ছাত্র-ছাত্রীরাও ছিলেন যাহারা আমার রচনার নিরপেক্ষতার তারিফ করিয়া আমাকে সাধুবাদ জানাইয়াছিলেন। আমি ঐ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হউক তাহা আমার রচনায় নির্দ্বিধায় কামনা করিয়াছিলাম। বাংলাবাজারে প্রকাশিত পাঁচটি নিবন্ধের শেষ নিবন্ধটিতে এই সমস্যার স্থঅয়ী সমাধান কিভাবে সম্ভব সেই বিষয়ে একটি পন্থা নির্দেশ করিতেও চেষ্টা করিয়াছিলাম। আমি বলিয়াছিলাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের ওপর শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া যে শোষণ চালানো হইয়াছে, তাহাদেরকে যে অন্যায়-অবিচারের শিকার হইতে হইয়াছে সেই জিনিসটি সমূলে সমাধান করিতে হইলে বাংলাদেশে যে ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি চালু রহিয়াছে পার্বত্য জনগোষ্ঠিকে তাহার প্রকৃত অংশীদার করিয়া তুলিতে হইবে।
এই সমাধানের ফর্মুলাটি খুব অল্প কথায় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়ও প্রকাশিত হইয়াছে। আমি শুনিয়াছি ভয়েস অব আমেরিকা, বিবিসি এবং জার্মান বেতার আমার রচনার মর্মবস্তুটির প্রচারও করিয়াছে।
চুক্তিটি যখন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হইল এবং ধারা-উপধারাগুলি নিবিষ্ট মনে পাঠ করিলাম, আমি ভয়ংকর হতাশ হইয়া পড়িলাম। চুক্তিতে নানা কথাই বলা হইয়াছে। সেই সব পুনরাবৃত্তি করিয়া পাঠক-পাঠিকার ধৈর্যের ওপর পীড়ন করিয়াও লাভ নাই। অনেক কলমবাজ বাক্যনবাব এই চুক্তির প্রশংসা করিয়া সংবাদপত্রে লম্বা নিবন্ধ রচনা করিতেছেন। সরকার-সমর্থক ব্যক্তিবৃন্দ পত্রিকায় বিবৃতি প্রকাশ করিয়া এই চুক্তি সম্পাদন কর্মটিকে শেখ হাসিনার সরকারের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার একটা বিরাট প্রমাণ বলিয়া তুলিয়া ধরিতেছেন।
আমি সামান্য মানুষ। বর্তমান বাংলাদেশে এমন কোন রাজনৈতিক দল নাই যাহার প্রতি আমি সর্বান্তঃকরণে সমর্থন প্রকাশ করিতে পারি। অনুগ্রহ করিয়া ধরিয়া লইবেন, আমি যাহা বলিতেছি সেইগুলি নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত। কোন দল বা গোষ্ঠীর মতামতের সঙ্গে আমার মতামতের যদি মিল ঘটিয়া যায়, তাহা আমাকে দলীয় পরিচয়ে চিহ্নিত করিবেন না এই ভরসা করিয়া আমার কথা আমি সংক্ষেপে বয়ান করিব।
আমরা একটি ধনতান্ত্রিক দেশে বাস করিতেছি। ধনতান্ত্রিক অর্থনীতির প্রকৃত স্বরূপ এই যে, এই অর্থনীতিতে জমি এবং টাকার মধ্যে ফারাক করিবার কোন উপায় নাই। বিষয়টি আমি একটি উদাহরণ দিয়া বুঝাইতে চেষ্টা করি। ধরুন, আমি গুলশানের একটি বাড়ির মালিক। যাহার মূল্য টাকার অংকে দাঁড়াইবে এক কোটি টাকা। আমি ইচ্ছা করিলে ঐ বাড়ি এক কোটি টাকায় বিক্রয় করিয়া বাংলাদেশের যে কোন জায়গায় এক হাজার বিঘা কিংবা দশ হাজার বিঘা জমি খরিদ করিতে পারিব। একই কথা আবার বিপরীত দিক হইতেও সত্য। যাহার পাঁচ হাজার বিঘা জমি আছে তিনি ঐ জমি বিক্রয় করিয়া গুলশানে একটি বাড়ি খরিদ করিতে পারিবেন। আমার এই দৃষ্টান্ত পাঠ করিয়া কেহ যেন মনে না করেন আমি সর্বোচ্চ ভূমি মালিকানার সীমা সম্পর্কে অবহিত নহি। আমি শুধু অর্থনীতির সাধারণ নিয়মটির কথা বলিলাম। বাংলাদেশে যে অর্থনীতিটি চালু রহিয়াছে পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ তাহার বাহিরে নহে। সম্পাদিত চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের ভূমির ওপর অধিকার দেওয়া হইয়াছে। কিন্তু তাহাদের সর্বাঙ্গীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোন রূপরেখা হাজির নাই। যে স্বায়ত্তশাসন বা বিশেষ অধিকার তাহাদের দেওয়া হইয়াছে ঐ জিনিস দিয়া পার্বত্য অধিবাসীরা নিজেদের অবস্থার কোন পরিবর্তন করিতে পারিবেন না। স্বায়ত্তশাসন অথবা ভূমির ওপর অধিকার লাভ করিয়াও যদি তাহাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন না ঘটে তাহা হইলে তাহারা আবার বিদ্রোহের পথে পা বাড়াইবেন। এই চুক্তি আমার বিচারে পার্বত্য অধিবাসীদের একটা বৃহত্তর বিদ্রোহের পথে ঠেলিয়া লইয়া যাইবে এবং চুক্তির মাধ্যমে তাহাদের বৃহত্তর বিদ্রোহের অধিকারকে আইনসঙ্গত বৈধতা দান করা হইয়াছে মাত্র।
আমার বাড়ি চট্টগ্রাম। অনেকেই মানিয়া লইবেন চট্টগ্রাম বাংলাদেশের সবচাইতে ধনশালী অঞ্চল। পাকিস্তান আমলে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানী ব্যবসায়ীদের সাথে পাল্লা দিতে পারিতেন। অবিভক্ত পাকিস্তানের বাইশটি ধনী পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার ছিলেন চট্টগ্রামের। স্বাধীনতার পঁচিশ বছর পরে যদি হিশাব লওয়া হয়, দেখা যাইবে বাংলাদেশের বড় বড় পাঁচশো জন ধনী ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজনের অস্তিত্বও চট্টগ্রামে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে কিনা সন্দেহ। চট্টগ্রামের সম্পদ দিয়া গোটা দেশের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিয়াছে। অথচ চট্টগ্রামের কোন উন্নতি হয় নাই। চট্টগ্রামের সম্পদ কিভাবে চট্টগ্রামের বাহিরে চলিয়া আসিতেছে তাহার বিবরণ দান করিবার প্রয়োজন আছে বলিয়া মনে করি না। এই সরকার তাহার পূর্বের সরকার, তাহারও পূর্বের সরকার সকলে ধারাবাহিকভাবে চট্টগ্রামের ওপর অবিচার করিয়া আসিতেছেন। বর্তমান সরকারের আমলে চট্টগ্রাম হইতে একজনও পূর্ণ মন্ত্রী নিয়োগ করা হয় নাই। একজন অর্ধ-মন্ত্রী নিয়োগ করা হইয়াছে মাত্র। (এই নিবন্ধ প্রকাশের সময় অবস্থা এই রকমই ছিল) তাহারও আসল বাড়ি নোয়াখালী। আমি চট্টগ্রামের লোক বলিয়া চট্ট্রগামের বঞ্চনার কাহিনী প্রকাশ করিতেছি অনুগ্রহ করিয়া সে কথা যেন কেহ মনে না করেন। আমি শুধু শান্তিচুক্তির সেই বিশেষ বৈশিষ্ট্যটির দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি মাত্র, যেখানে পার্বত্য অধিবাসীদের নিরঙ্কুশ ভূমি মালিকানা স্বীকার করিয়া লওয়া হইয়াছে। পার্বত্য অধিবাসীদের এ বিশেষ অধিকারের কারণে অনুপ্রাণিত হইয়া যদি চট্টগ্রামের অধিবাসীবৃন্দ দাবী তুলিতে থাকেন, চট্টগ্রামের বাহিরের লোক যাহারা চট্টগ্রামের সম্পদ লুটপাট করিতেছেন তাহাদের চট্ট্রগামে থাকিবার অধিকার নাই। এই ধরনের দাবী যদি কখনো উত্থাপিত হয় দেশের জন্য তাহা কিছুতেই মঙ্গলজনক হইবে না। পার্বত্য এলাকার শান্তিচুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের নানা অঞ্চলের মানুষদের এ ধরনের আন্দোলনের পথে ধাবিত হওয়ার একটি অলিখিত নীল-নকশা আইনসঙ্গত করা হইয়াছে কিনা যাহারা এই চুক্তি সম্পাদন করিয়াছেন তাহাদের বিষয়টি ভাবিয়া দেখিতে অনুরোধ করি।
চুক্তির ব্যাপারে যাহারা সরকারের বিরোধিতা করিতেছেন, অনেক কথাই বলিতেছেন তাহার একটা ফিরিস্তি দাঁড় করাইলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি আপনিই আসিয়া পড়িবে। বিএনপি এবং তাহার সহযোগী দলগুলি বলিতেছে, এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করা হইয়াছে। পার্বত্য-বাঙ্গালিদের অধিকারহীন করিয়া তাহাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হইয়াছে। শান্তিবাহিনীকে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ হইতে বিচ্ছিন্ন হইবার পাকাপোক্ত অধিকার দান করা হইয়াছে। বিরোধী দলের লোকেরা আরো বলিতেছেন, বর্তমান সরকার ভারতের স্বার্থেই এই চুক্তি সম্পাদন করিয়াছেন। তাহারা আরো বলিতেছেন, দেশের স্বার্থের প্রতি যদি ক্ষমতাসীন সরকার যত্নবান হইতেন তাহা হইলে এই চুক্তি পাকাপাকি করিবার পূর্বে সংসদে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসিতেন।
সরকার ভিন্ন কথা বলিতেছেন। সরকার বলিতেছেন, এই চুক্তিতে দেশের স্বার্থ কোথাও ক্ষুন্ন করা হয় নাই। পার্বত্য-বাঙ্গালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করিবার অধিকার খারিজ করা হয় নাই। তদুপরি দেশের একটি উদ্বেগজনক সংকটের সমাধান করিয়া দেশের অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করিয়াছেন। যাহারা ক্ষমতায় থাকিতে চাহেন এবং যাহারা ক্ষমতায় আরোহন করিতে চাহেন তাহারা নিজ নিজ অবস্থান যথার্থতা প্রমাণ করিবার জন্য যুক্তির জালবিস্তার করিবেন এইটা খুবই জানা কথা। এখন সংকটটি যে বিকট আকার ধারণ করিয়াছে, আমার মনে হয় না সরকার এবং বিরোধী দল তাহাদের অবস্থান কিটাইয়া রাখিয়া কোন সমাধানে আসিতে পারিবেন।
দেশের মালিখ দেশের জনগণ। বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি কিংবা জামাত কেহই দেশের মালিক নহেন। সরকার বলিতেছেন, দেশের মস্ত কল্যাণ করিয়াছেন। বিরোধী দল বলিতেছেন, দেশ বেচিয়া দিয়াছেন। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পাইয়াছিল ৩৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট। বিএনপির ভাগে জুটিয়াছিল ৩৪ শতাংশের সামান্য অধিক ভোট। বাকি ভোট জামাত, জাতীয় পার্টি, বামফ্রন্ট, গণফ্রন্ট এবং স্বতন্ত্র প্রাথীরা লাভ করিয়াছিলেন। এই হিশেবে দেখা যাইতেছে সরকার কিংবা বিরোধী দল কেহই দেশের সমগ্র জনগণের হইয়া কথা বলিবার অধিকারী নহেন। এই পরিস্থিতিতে শান্তিচুক্তি ভাল হইয়াছে কি মন্দ হইয়াছে সেই বিচারের ভার যাহারা দেশের আসল মালিক সেই জনসাধারণের ওপর ছাড়িয়া দেওয়া হউক। বেশির ভাগ মানুষ যদি মনে করেন এবং রায় দেন এই শান্তিচুক্তি দেশের কল্যাণ সাধন করিবে তাহা হইলে সেই চুক্তি মানিয়া লইতে কাহারও আপত্তির কিছু থাকিবে না। যদি দেশের মানুষ মনে করে এই শান্তিচুক্তি দেশের ক্ষতি সাধন করিবে, চুক্তিটিকে অবশ্যই বাতিল করিতে হইবে।
উদাহরণস্বরূপ আমরা ইউরোপের সুইজারল্যান্ড এবং কানাডার কুইবেকের কথা উল্লেখ করিতে চাই। সুইজারল্যান্ডের সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার বাসনা প্রকাশ করিয়াছিল, কিন্তু বিরোধী দল আপত্তি করিয়া বলিয়াছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করিলে আমাদের সুইচ-নিরপেক্ষতার ভাবমূর্তিটি নষ্ট হইবে। সুতরাং আমাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ না দিয়া আলাদা থাকাই মঙ্গলজনক। সরকার এবং বিরোধী দলের দড়ি টানাটানির মধ্যে বিষয়টার কোন সমাধান পাওয়া গেল না, তখন বাধ্য হইয়া রেফারেন্ডামের আয়োজন করিতে হইল। সুইচ-জনগণ ভোটের মাধ্যমে জানাইয়া দিলেণ তাহারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান করিবেন না। সুতরাং সুইজারল্যান্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাহিরে রহিয়া গেল।
কানাডা উত্তর আমেরিকার একটি বিশাল দেশ। এই দেশের অনেকগুলি রাজ্য রহিয়াছে। একমাত্র কুইবেক ছাড়া সবগুলো রাজ্য ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করিয়া থাকে। কুইবেক ফরাসিভাষী রাজ্য। এই কুইবেকের জনগণের একটা বিরাট অংশ কানাডা হইতে বাহির হইয়া আলাদা ফরাসি ভাষী স্বাধীন কুইবেক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করিবার দাবি জানাইয়া আসিতেছিলেন। এই দাবী যখন ভয়ংকর হইয়া ভাষা-দাঙ্গায় রূপলাভ করিল কানাডা সরকারকে বাধ্য হইয়া রেফারেন্ডামের আয়োজন করিতে হইল। ঐ রেফারেন্ডামে ৪৯ ভাগ লোক কানাডা হইতে বিচ্ছিন্ন হইবার পক্ষে মত দিলেন এবং ৫১ ভাগ, কুইবেকবাসী জানাইয়া দিলেন তাহারা কানাডীয় ফেডারেশনের মধ্যেই থাকিবেন। সুতরাং কুইবেক কানাডায় রহিয়া গেল।
পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তির মধ্যে এমন কিছু বিস্ফোরক উপাদান রহিয়াছে যাহা পার্বত্য উপজাতীয় এবং অউপজাতীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করিবে না শুধু, দেশের অন্যান্য উপজাতীয় অঞ্চল এবং নানা অংশে অশান্তির আগুন জ্বালাইয়া তুলিবে। শান্তিচুক্তির প্রশ্নে জাতি আজ দ্বিধা-বিভক্ত হইয়া পড়িয়াছে। দুই বিবদমান পক্ষের কাহারো ক্ষমতা নাই একের সিদ্ধান্ত অপরের ওপর চাপাইয়া দেয়। সুতরাং একটি ফেডারেন্ডামের আয়োজন করা ছাড়া এই সংকট সমাধানের অন্য কোন পন্থা দৃষ্টিগোচর নয়। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ যদি কর্তব্য স্বীকার করিয়া অনতিবিলম্বে একটি রেফারেন্ডামের প্রস্তাবে সরকার এবং বিরোধী দল উভয়পক্ষকে সম্মত করাইবার উদ্যোগ গ্রহণ করেন, সেটাই হইবে সময়োচিত কাজ। তাহা না হইলে যে মারামারি, খুনাখুনি, ধ্বংসের তাণ্ডবলীলা শুরু হইয়াছে তাহা আরো প্রকাণ্ড এবং প্রচণ্ড আকার ধারণ করিতে পারে।
১ ডিসেম্বর ১৯৯৭
শান্তি চুক্তি ও নির্বাচিত নিবন্ধ (ঢাকা: ইনফো পাবলিকেশনস্, ১৯৯৮)।