আমি একটি গল্প বলব। নিজে বানাইনি। অন্যের মুখ থেকে শোনা। অপরের মাল নিজের নামে চালাচ্ছি, সে জন্য আমার এতটুকুও ভয় নেই। যাঁর কাছে গল্পটি শুনেছিলাম, আল্লাহ তাআলা তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়েছেন। আমি মোনাজাত করি, আল্লাহ তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।
যাঁর কাছ থেকে শুনেছি, ভদ্রলোক বেঁচে থাকলে এমন অবলীলায় গল্পটি বিবৃত করার দুঃসাহস আমার কস্মিনকালেও হতো না। নিশ্চয়ই তিনি আমাকে তঞ্চকতার দায়ে অভিযুক্ত করতেন। আর তিনি ছিলেন এমন এক জাঁদরেল ব্যক্তিত্ব, তাঁর মুখনিঃসৃত সামান্যতম অপবাদও আমার মতো একজন লেখক যশঃপ্রার্থীর সমস্ত সুনাম ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
ভদ্রলোক আমার গুরুস্থানীয় ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে আমি জীবনে অনেক কিছু শিখেছি। অন্য অনেক কিছুর মধ্যে তিনি আমাকে গুরুমারা বিদ্যেটিও ভালোভাবে শিখিয়েছিলেন। হয়তো এ বিদ্যেটি তিনিও তাঁর গুরুর কাছ থেকে শিখেছিলেন। তিনি যে এই নশ্বর দুনিয়াতে দেহ ধারণ করছেন না, এই কথাটি চিন্তা করে আমি অন্তরে একটা নির্মল আনন্দ অনুভব করছি। তিনি বেঁচে থাকলে এমন নিঃসংকোচে আমি গল্পটি প্রকাশ করতে পারতাম না। মনের কোণে একটা খুঁতখুঁতানি লেগে থাকত।
তিনি যখন বেঁচে নেই, গল্পটি যদি আমার বলে দাবি করি, কেউ আপত্তি উত্থাপন করবে, এমন মনে করিনে। গল্প যে বিশ্বাসযোগ্যভাবে বর্ণনা করতে পারে, লোকে তাকেই গল্পকার ধরে নেয়। সুতরাং ভাষা ও কল্পনাশক্তি প্রয়োগ করে গল্পটি নতুন করে বলার কষ্ট যেহেতু আমি স্বীকার করেছি, সুতরাং গল্পটি আঁশে-শাঁসে আমার হয়ে গিয়েছে। একটা কথা তো সত্যি, জগতে গল্পের সংখ্যা খুব বেশি নয়। মানুষ নতুন রঙে রাঙিয়ে নতুন করে বলে সংখ্যা বাড়ায় মাত্র।
তবু আমার মনে একটুখানি সংকোচ ছিল। যদি আমার গুরুস্থানীয় ব্যক্তির কলত্র-পুত্রেরাগল্পের মালিকানা নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো ধরনের বাদানুবাদে প্রবৃত্ত হতেন, আমার কিছুটা অসুবিধে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে আশঙ্কার বিন্দুমাত্র কারণও নেই। ভদ্রলোকের পুত্র, কলত্র এবং দুহিতাদের আমি বিলক্ষণ চিনি। তাঁদের সঙ্গে সপ্তাহে অনেকবার দেখা-সাক্ষাৎ ঘটে। তাঁরা গল্পের মালিকানা নিয়ে কোনো কথা তুলবেন, আমার আদৌ মনে হয় না।
ভদ্রলোকের ছেলেমেয়ের সংখ্যা অনেক। স্ত্রীটিরও যথেষ্ট সামাজিক দুর্নাম আছে। আর ভদ্রলোক আল্লাহ গাফুরুর রাহিমের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাওয়ার সময় অনেক বিষয়-সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। নিষ্কর্মা পুত্রের বাথানে দুশ্চরিত্রা কন্যার দল এবং খাণ্ডারনি পত্নী সম্পত্তির অধিকার নিয়ে এত মশগুল হয়ে পড়েছেন যে পিতা বা স্বামীর বায়বীয় বস্তুর মালিকানা দাবি করার মতো শিক্ষা, রুচি কিংবা সময় কোনোটাই তাঁদের নেই। এই লেখাটি লেখার সময় বুকের মধ্যে একটা দীর্ঘনিশ্বাস চাপা দিলাম। আমার গুরুস্থানীয় ব্যক্তিটির মধ্যে যত খারাপ জিনিস ছিল, সব পুত্র-কন্যার আবদারে নির্গত হয়ে আমাদের পাড়াটির শান্তি নাশ করছে। আর ভালো জিনিসগুলো এই ধরনের গল্প উপাখ্যানের আবদার নিয়ে নতুন নতুন গল্প বানিয়েদের হাতে পড়ে তাঁর জীবনের অমর অংশের জয়বার্তা ঘোষণা করছে। তবু আমার একটা সান্ত্বনা আছে। সেটা এই রকম: এই হারামজাদা-হারামজাদিরা হাজার রকম অপচেষ্টা করেও আমার গুরুস্থানীয় ব্যক্তিটির মানবিক মহিমার সবটুকু ধ্বংস করতে পারবে না। অতএব, গুরুর স্বর্গ কামনা করে কাহিনিটি নিজের মুখে বলতে আরম্ভ করি। স্বর্গ কামনা ছাড়া অন্য কোনো জিনিস স্বার্থ ত্যাগ করে যদি সম্প্রদান করতে হতো, আমার বুক বলার জন্য চনমন করলেও গল্প বলার আকাঙ্ক্ষাটি দমিয়ে রাখতাম। স্বর্গ কামনা করতে কোনো পয়সাকড়ি লাগে না, তাই করলাম। এখন আপনারা সসংকোচে গল্পটি শ্রবণ করুন।
একবার এক পশুরাজ সিংহ অপরাহ্ণবেলায় বনপথে ভ্রমণ করছিলেন। আপনাদের মধ্যে যাঁরা এই জঙ্গলসম্রাটের সবিশেষ খবর রাখেন না, তাঁদের একটা প্রয়োজনীয় সংবাদ জানানো উচিত মনে করছি। নইলে আমার গল্পটি বিবৃত করার উদ্দেশ্য মাঠে মারা যাবে। ভরপেটে থাকলে সিংহ কখনো অন্য প্রাণীর ওপর হামলা চালায় না। রুচির এই পরিচ্ছন্নতার জন্য সিংহ পশুদের রাজা। পাঠক ভদ্রমহিলা এবং ভদ্রমহোদয়বৃন্দ, আপনাদের কাছে আমি রাজা হওয়ার একটি প্রকৃত লক্ষণ তুলে ধরলাম। রাজকীয় রুচি না থাকলে শুধু শক্তি দিয়ে পশুসমাজে রাজা হওয়া চলে না। বাঘের শক্তি সিংহের চেয়ে কম নয়। কিন্তু বাঘের রয়েছে ত্যাঁদড় স্বভাব। সে অপ্রয়োজনে হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করে না এবং চোরাকারবারিদের মতো খাবার মজুতও করে রাখে।
স্বভাবের এই ত্যাঁদড়ামির জন্য বাঘের পশুদের রাজা হওয়া সম্ভব হয়নি। সিংহের স্বভাবে বৈরাগ্য আছে, নির্লিপ্ততা আছে, সেটিই সিংহকে রাজা করেছে। পশুসমাজের এই নিয়ম কিন্তু মনুষ্যসমাজে খাটে না। মনুষ্যসমাজে যারা রাজা হয়ে থাকে, তাদের ত্যাঁদড়-ধূর্ত ইত্যাদি না হলে চলে না।
ধীমান পাঠক-পাঠিকা, এভাবে লক্ষণ বিচার করতে থাকলে আমার পক্ষে গল্পটি বলা সম্ভব হবে না। সুতরাং আমরা সোজাসুজি পশুরাজের সে অপরাহ্ণ-ভ্রমণে চলে আসি।
দুই.
সিংহমশায় আনন্দিত অন্তরে তাঁর রাজ্যপাট পরিদর্শন করে ফিরছিলেন। তখন সূর্য পাটে বসতে যাচ্ছে। এই ধরনের পরিবেশে নিজের প্রসারিত অধিকারের কথা চিন্তা করতে কার না ভালো লাগে। তাই সিংহের মেজাজ শরিফও অত্যন্ত প্রসন্ন ছিল।
বনের উঁচু-নিচু বঙ্কিম-শঙ্কিল পথে যেতে যেতে এক জায়গায় এসে সিংহের দৃষ্টি স্থির হয়ে গেল। সিংহমশায় দেখেন, অনেক শেয়ালশিশু পাহাড়ের ঢালুতে খেলা করছে। শেয়াল জাতটাকে সিংহমশায় এতই ঘৃণা ও অবজ্ঞা করেন যে আহার্য হিসেবেও তিনি তাদের রসনার অনুপযুক্ত মনে করেন। কিন্তু এই শেয়ালশিশুদের দেখে তিনি হঠাৎ থমকে দাঁড়ালেন। কেন? আগেই তো বলেছি, সিংহমশায়ের পেটে ক্ষুধা ছিল না। সুতরাং এই কচি বাচ্চাদের শিকার হিসেবে বধ করায় আকাঙ্ক্ষা তাঁর মনে জাগবে, এটাও অস্বাভাবিক। বিশেষত পেটভরা ক্ষুধার সময়ও সিংহমশায় শেয়াল বধ করতে একধরনের ঘৃণা বোধ করেন। সিংহ যে হঠাৎ দাঁড়িয়ে গেলেন, তার একটি কারণ নিশ্চয়ই আছে। সেটি আমাদের বর্ণনার বিষয়। সিংহমশায় দেখলেন, অগুনতি শেয়ালশিশুর মধ্যে একটি সিংহশিশুও মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সিংহের মনে একটা ধান্ধা লেগে গেল। এটা কেমন করে সম্ভব? শেয়ালশিশুদের ভেতর একটি সিংহের বাচ্চা কেমন করে জুটল, হেতু জানার জন্য সিংহের মন চঞ্চল ও উতলা হয়ে উঠল। তারপর যা ঘটল, একটু কবিতা করে বলি:
‘ইতিউতি চারিদিকে নজর করি চাইল
শেয়ালের পালের মধ্যে সিংহ সান্ধাইল।’
সিংহমশায় যেভাবে কাজটি সারবেন ভেবেছিলেন, সেভাবে হলো না। তাঁকে হুংকার ছাড়তে হলো। মেজাজ তাতাতে হলো। মনে মনে সিংহ তাঁর এই স্বভাবটির জন্য অপ্রস্তুত হলো। তবু আত্মপ্রসাদ পেলে রাজার খাসলত আর গুপ্তচরের খাসলত এক নয়।
যা হোক, সিংহ যখন শেয়ালশিশুর পালের মধ্যে ছুটে এলেন, তার আগেই হুংকার শুনে শেয়ালশিশুরা গর্তের মধ্যে একেবারে সেঁধিয়ে ভয়ে চুপটি মেরে বসে আছে। কেবল সিংহশিশুটি পালাতে না পেরে ভ্যাবাচেকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সিংহ মনে মনে খুব সন্তুষ্ট হলেন। এত সব শেয়ালছানার মধ্যে বাস করেও সিংহছানাটি শেয়ালশাবকদের ধূর্ত পলায়নপর স্বভাব রপ্ত করতে পারেনি।
সিংহমশায় ঝটিতি সিংহশিশুর কাছে গিয়ে রোষ-কশায়িত নয়নে তাকিয়ে কৈফিয়ত দাবি করে বসলেন, এই বেটা, তুই এখানে শেয়ালছানাদের মাঝখানে কেন? সিংহশিশুটি ভয়ে ভয়ে বলল, রাজামশায়, এই শেয়ালছানারা আমার ভাইবোন। শেয়ালমশায় আমার বাবা, শেয়ালনি আমার মাতৃদেবী। আমি ভাইবোনদের মতো হুক্কাহুয়া ডাক ডাকি। ওই গুহার ভেতর আমার বাড়ি। আমি কোথায় যাব?
সিংহমশায় জবাব শুনে আরও চটে গেলেন। মুখ ভেংচে বললেন, শেয়ালমশায় আমার বাবা, শেয়ালনি আমার মাতৃদেবী, আমি ভাইবোনদের সঙ্গে মিলেমিশে হুক্কাহুয়া ডাক ডাকি। এতগুলো মিছে কথা এত বাচ্চা বয়সে কেমন করে শিখলি?
তখন সিংহশিশুটি আরও ভয় পেয়ে বলল, রাজামশায়, আমার আর বলার কিছু নেই। বাকিটা আপনি বলুন।
সিংহ বললেন, তুই বেটা সিংহশিশু, তোর নখ-দাঁত-কেশর সব আছে। আমি অবাক হয়ে ভাবছি, তুই এই নচ্ছার শেয়ালদের সঙ্গে কী করে জুটলি।
তখন সিংহশিশুটি আরও বিনয় মিশিয়ে বলল, মহারাজ, কাটুন, মারুন, ভক্ষণ করুন, যা ইচ্ছে করুন, আমি শেয়ালছানা বই আর কিছু নই।
মুন, ফটোজিয়ামসেদিন সিংহমশায়ের আপরাহ্ণিক ভ্রমণটা মাটি হয়ে গেল। তিনি খুব চিন্তিত মনে ডেরায় ফিরে এলেন। তাঁর রাজমস্তকে অস্থিরতাটা একটা বিশেষ কারণে ছড়িয়ে পড়ছিল। সেটা এই, একটা সিংহশিশু কীভাবে নিজের আত্মপরিচয় বেমালুম ভুলে গিয়ে শেয়ালদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। এই বিষয়টা ভাবতে সিংহটা এত বেশি লজ্জিত ও দুঃখিত বোধ করছিল, জগতের বুক থেকে সমস্ত সিংহ জাতি ধ্বংস হয়ে গেলেও সে পরিমাণ ব্যথা তাঁর জন্মাত না। সে রাতটি পুরো সিংহমশায়ের নির্ঘুম কেটেছে। তাঁর স্বজাতির একটি শিশুর এই বিকৃত স্বভাবে অভ্যস্ত হয়ে পড়া—তার কী দাওয়াই থাকতে পারে? সারা রাত মাথা খেলিয়ে খেলিয়ে সিংহমশাই একটা বুদ্ধি বের করলেন। কদিন পর সিংহমশায় হুংকার-টুংকার না করে শেয়ালছানাদের পাশে চুপি চুপি প্রবেশ করে সিংহশিশুটিকে একেবারে টপ করে মুখে পুরে ছুটতে আরম্ভ করলেন। সংকীর্ণ গিরিখাত পার হয়ে, গর্জনবন পেছনে ফেলে বুনো ঝোপঝাড় বাঁ দিকে রেখে ছুটতে ছুটতে এমন এক জায়গায় চলে এলেন, যেখানে স্বচ্ছ জলের একটা ঝরনা নির্জন গতিতে আপন মনে বয়ে চলেছে। জলে কোনো তরঙ্গ নেই, কুঞ্চন নেই, সমস্ত ঝরনাটা একটা স্বচ্ছ আরশির মতো। সিংহমশায় শেয়ালবাথান থেকে ধরে আনা শিশুটিকে ঝরনার পাড়ে রেখে বললেন, এই ব্যাটা, চোখ খোল এবং ঝরনার দিকে তাকা। ভয়ে ভয়ে সিংহশিশুটি পিটপিটে চোখ মেলে অবাক হয়ে ঝরনার দিকে তাকিয়ে থাকল—যেখানে দুজনের ছায়া প্রতিফলিত হয়েছে।
সিংহটি জিজ্ঞেস করলেন, এই বদমাশ, বল, তোর চোখ, নাক, আকার, আকৃতি, কেশর কার মতো?
শিশুটি ভয়ে ভয়ে বলল, সব তো দেখছি মহারাজ আপনার মতো। তবে আমি খুবই ছোট।
আমিও একদিন ছোট ছিলাম। তবে তুই বললি যে তুই শেয়াল, শেয়ালনি তোর মা, শেয়াল তোর বাপ। কথাটি কি সত্যি?
শিশুটি বলল, একটুখানি গোলে পড়ে গেলাম, মহারাজ। আমার সবটাই দেখছি আপনার মতো। তবু আমি শেয়ালদের মধ্যে ছিলাম। আমি অবাক হয়ে ভাবছি, এর কারণ কী?
সিংহমশায় খুশি হয়ে বললেন, ব্যাটা, কারণ খুঁজে লাভ নেই। দেখি, আমার সঙ্গে হুংকার ছাড়। তারপর বাচ্চা এবং বুড়ো উভয় সিংহের হুংকারে সমস্ত বনভূমি কেঁপে উঠতে থাকল।
তিন.
নানা রং চড়িয়ে গল্পটি এত দূর বলেও আমার মনের দ্বিধাটি কাটেনি। গল্পটা সম্পূর্ণ আমার হয়ে ওঠেনি। অপরের জিনিস কখনো নিজের হয় না। চৌর্যবৃত্তির অপরাধ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য গল্পটির একটি মানবিক ব্যাখ্যা আমি দাঁড় করিয়েছি। তবে ব্যাখ্যাটি পশুসমূহের ওপর প্রযোজ্য হবে না। মানুষ যদি মানুষ হতে চায়, তাকে আত্মপরিচয় অনুসন্ধান করতে হবে। সংস্কৃতি হলো জাতিগুলোর, গোষ্ঠীগুলোর সেই অচঞ্চল দর্পণ, যাতে নিজের পুরো ছবিটা দেখা যায়। আপনারা যদি আমার ব্যাখ্যাটা গ্রহণ করেন, আমি চৌর্যবৃত্তির দায় থেকে মুক্ত হয়ে যাই।
১৩ অক্টোবর ১৯৯১, ১৮ পরীবাগ, ঢাকা।
সংগ্রহ ও ভূমিকা: আয়েশা পারুল
আহমদ ছফার সঙ্গে আমার পরিচয় ও সখ্য ১৯৮১ সালের গোড়ার দিকে, আমার স্বামী মহিউদ্দিন বুলবুলের মাধ্যমে। বাংলা একাডেমি তাঁর লেখা বাঙালি মুসলমানের মন বইটি ছাপছে। এর একটি প্রবন্ধ ছিল শিল্পী সুলতানকে নিয়ে—বাংলার চিত্র ঐতিহ্য: সুলতানের সাধনা। এর অফ প্রিন্ট নিয়ে বের হলো আড়াই ফর্মার একটি চটি বই। পেপারব্যাক, দাম পাঁচ টাকা। আমি হলাম এর প্রকাশক।
ব্যাংককভিত্তিক আঞ্চলিক সংস্থা এশিয়ান কালচারাল ফোরাম অন ডেভেলপমেন্টের (অ্যাকফোড) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলাম আমি। ১৯৯১ সালে এদের জন্য একটা স্যুভেনির বের করার উদ্যোগ নিই। ‘ঝরনায় আত্মপ্রতিকৃতি অবলোকন’ শিরোনামে ছফা ভাই একটা গল্প লিখে দিলেন। মাশুক চৌধুরী আর সোহরাব হাসানও লেখা দিয়েছিলেন। শিবনারায়ণ দাস দিলেন প্রচ্ছদ এঁকে। কিন্তু সেই স্যুভেনিরটি আর বের করা হয়নি। ১৯৯১ সালের ১৩ অক্টোবর লেখা ছফা ভাইয়ের অপ্রকাশিত এই গল্পটি এত দিন সযত্নে আগলে রেখেছিলাম। এখন তা অবমুক্ত হলো। দীর্ঘদিন পর গল্পটি পড়তে গিয়ে মনে হলো, এই সময়ের বাস্তবতায়ও এটি দারুণ প্রাসঙ্গিক।
প্রকাশ: ৩ আগস্ট ২০১৮, প্রথম আলো।
Thank you for writing such a great post.The simplest language you use when writing articles is appreciated.The estimate of writing your site post is very good.The information you give will prove to be of great value to me,I hope that. It is our wish that you continue to write great articles in such a future.
Thank you so much for this useful article.
গল্পটি ভালো লেগেছে; বক্তব্যটি অসত্য নয় যদিও; কিন্তু বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত হতে পারলাম।
The estimate of writing your site post is very good .The simplest language you use when writing articles is appreciated .The information you give will prove to be of great value to me, I hope that. It is our wish that you continue to write great articles in such a future. Thanks for sharing this article. Thank you